“১৬ মে ২০২৫: সারাদেশের বিস্তারিত আবহাওয়া বার্তা ও কৃষি পরামর্শ”

দৈনিক আবহাওয়া বার্তা
তারিখ :
ইংরেজি : ১৬ই মে ২০২৫ রোজ শুক্রবার
বাংলা : ২রা জৈষ্ঠ্য ১৪৩২
আরবী: ১৮ই জিলক্বদ ১৪৪৬ হিজরি।
ঋতুচক্র : গ্রীষ্মকাল
সূর্যোদয়/প্রভাত : ভোর ৫ :১৭ মিনিট ( ঢাকা)
সূর্যাস্ত/দিবাসমাপ্তি : সন্ধ্যা ৬:৩৩ মিনিট ( ঢাকা)
দিনের ব্যাপ্তি : ১৩ ঘণ্টা ১৬ মিনিট ( ঢাকায়)
মৌসুমী বায়ুর অবস্থান :
পশ্চিম দিক থেকে আগত লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অতিক্রম করে কোলকাতা হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
সতর্ক সংকেত :
নেই!
নিন্মচাপ:
নেই!
এবার দেখে নেওয়া যাক,কেমন থাকতে পারে ১৬ই মে দেশের আবহাওয়ার সংক্ষিপ্ত পূর্বাভাস:
আকাশ :
আগামী কাল সারা দিন সিলেট ও রংপুর বিভাগ ব্যাতিত দেশের সকল বিভাগ রৌদ্র উজ্জ্বল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কিছু কিছু স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দিনের বিভিন্ন সময়ে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টি :
১৬ই মে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে যে সমস্ত জেলায়, সিলেট , মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর , ময়মনসিংহ, নিকলি, কিশোরগঞ্জ।টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম। এছাড়া বিক্ষিপ্ত ভাবে অন্যান্য জেলাতে বৃষ্টি হতে পারে।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টার বৃষ্টিপাতের সংগ্ৰহীত রেকর্ড :
সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় রাজারহাট ১৫০ মিলিমিটার ।
এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায়(সন্ধ্যা পর্যন্ত )বিভাগীয় পর্যায়ে বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ রেকর্ড সমূহ:
- চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা ০০ মিলিমিটার
- ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর ৪৬ মিলিমিটার
- রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ০৫ মিলিলিটার
- বরিশাল বিভাগের ভোলা ০৩ মিলিমিটার
- খুলনা বিভাগের কুমারখালী ০৬ মিলিমিটার
- সিলেট বিভাগের সিলেট ৫০ মিলিমিটার
- রংপুর বিভাগের রাজারহাট ১৫০ মিলিমিটার
- ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা ২২ মিলিমিটার (BMD)
সতর্ক সংকেত :
নেই!
বৃষ্টির আগাম পূর্বাবাস :
আগামী ৩ দিনে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।মোটামুটি সারাদেশে ৩০-১৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে দেশের উত্তর পূর্ব অঞ্চলে তুলনামূলক বৃষ্টির পরিমাণ বেশি । দক্ষিণ অঞ্চলে তূলনামূলক পরিমাণ কম।
বন্যা পূর্বাভাস :
বন্যার সম্ভাবনা নেই।
তাপমাত্রা ১৫ই মে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত :
গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও সাতক্ষীরায় ৩৭.৬° সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় সিলেট ২১.৩° সেলসিয়াস। (BMD)
তাপদাহ:
আগামীকাল দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা।
এবার দেখে নেওয়া যাক আগামীকালের দেশের ৮ টি বিভাগীয় সদরের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কেমন হতে পারে।
বিভাগের নাম: সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন :
চট্টগ্রাম ৩৪° সে. ২৯° সে.
বরিশাল ৩৭° সে. ৩০° সে.
খুলনা ৩৭° সে. ২৭° সে.
ঢাকা ৩৫° সে. ৩২° সে.
সিলেট ৩২° সে. ২৪° সে.
রাজশাহী ৩৫° সে. ২৮° সে.
রংপুর ৩৪° সে. ২৫° সে.
ময়মনসিংহ ৩৩° সে. ২৬° সে.
এছাড়া সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা গত দিনের মত থাকার সম্ভাবনা।১-২° এদিক সেদিক হতে পারে।
তাপপ্রবাহ : নেই!
সন্ধ্যা ৬ টায় বিভাগীয় শহরের বায়ু প্রবাহ :
- ঢাকা: ঘন্টায় ১৪ কিলোমিটার
- চট্টগ্রাম: ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটার
- বরিশাল: ঘন্টায় ১৮ কিলোমিটার
- খুলনা: ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার
- সিলেট ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটার
- ময়মনসিংহ ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটার
- রংপুর ঘন্টায় ০৭ কিলোমিটার
- রাজশাহী ঘন্টায় ০৮ কিলোমিটার
দৃষ্টি সীমা :
- ঢাকা ৬ কিলোমিটার
- ময়মনসিংহ ৮ কিলোমিটার
- চট্টগ্রাম ৫ কিলোমিটার
- খুলনা ৬ কিলোমিটার
- বরিশাল ৫ কিলোমিটার
- সিলেট ৭ কিলোমিটার
- রংপুর ৯ কিলোমিটার
- রাজশাহী ৯ কিলোমিটার
বিভাগীয় শহরের আদ্রর্তা :
- ঢাকা ৬৮%
- ময়মনসিংহ ৭৯%
- চট্টগ্রাম ৬৯%
- খুলনা ৭০%
- বরিশাল ৭৭%
- সিলেট ৮৬%
- রংপুর ৮৫%
- রাজশাহী ৬০%
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় সারাদেশে গরমের মাত্রা রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা থেকে বেশি অনুভূত হচ্ছে।
বজ্রপাত :
- বৃষ্টিবাহী এলাকায় বজ্রপাত আছে।
দমকা হাওয়া : সম্ভাবনা রয়েছে ।
প্রখর সূর্য রশ্মি : তীব্র।
সতর্ক সংকেত : নেই!
উত্তর বঙ্গপোসাগর :
ঘূর্ণিঝড় / নিম্নচাপ / লঘুচাপ : নেই!
উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
স্বাভাবিক সূর্য রশ্মি স্থানভেদে ৭- ১০ ঘন্টা পাওয়া যেতে পারে।
ঝলমলে রোদ : দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ।
তাপপ্রবাহ :
- সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত দেশের অন্যত্র রয়েছে।
কৃষি পরামর্শ:
উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উৎপাদন করতে হলে আবহাওয়া পূর্বাভাস দেখে ফসল উৎপাদন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।তবেই অধিক ফসল উৎপাদন করে লাভবান হওয়া সম্ভব। সচেতনতার অভাবে কৃষিতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের দেশের কৃষকরা।
১.বৃষ্টিপাত চলাকালীন রাসায়নিক সার এবং কৃটনাশক ব্যবহার থেকে বিরত থাকি। এই সময় ব্যবহার করলে বৃষ্টিতে ধুয়ে খাল বিলে চলে যাবে যা জলজ প্রাণীকূলের জন্য হুমকি স্বরূপ।
২. টানা ভারি বর্ষণ শেষ হওয়ার পর ছত্রাক নাশক ব্যবহার করা উত্তম। এতে উদ্ভিদ পচন রোগ থেকে রক্ষা পাবে।
৩. উচ্চ তাপমাত্রা থেকে রক্ষা পেতে হলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই ।
৪.হেলে পড়ে যেতে পারে এমন ফসলে খুঁটি দিতে হবে।
৫.ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে ।
৬.বর্ষাকাল গাছ লাগানোর জন্য উত্তম।
৭.সবজি বীজ টানা বর্ষণে বপন করা উচিৎ না ।
৮.এখন যেহেতু বর্ষাকাল সেহেতু বৃষ্টি সহনশীল ফসল নির্বাচন করতে হবে।
মৎস্য শিকারীদের জন্য আপডেট :
সমুদ্র ও নদী মাছ শিকারের অনুকূলে রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেতে প্রতি দিন সকাল এবং রাতে আমাদের দেওয়া পূর্বাভাস গুলো দেখুন।
UPDATE : 15 May AT 11 :40 PM (GTM 6+)