আমাদের ভার্চুয়াল ঈদ

একসময় ঈদ মানেই ছিলো সকাল বেলা সেজেগুজে বন্ধুবান্ধবদের সাথে ঘুরতে বের হওয়া। বড়দের পা ছুঁয়ে ঈদের সালাম করে। তাঁরাও হাসিমুখে আমাদের জন্যে ১০টাকা ২০টাকা সালামি বরাদ্ধ করতেন। তাই যেন ছিলো আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো খুশির ব্যপার।সেই টাকা দিয়ে ঈদের মেলায় যেয়ে চকলেট মিষ্টি খাওয়ার দিনগুলোই নিয়ে আসতো আসল ঈদের আমেজ।
এখন আর তখনকার দিনের তফাত অনেক। আমাদের মাঝে ভার্চুয়ালি দূরত্ব কমে গেছে। প্রত্যেকেই এখন শুধু একটা মেসেজ, একটা ফোন কল দূরত্বে। ২ টাকার ঈদকার্ডে হাতে লেখা কবিতার জায়গা দখল করেছে কপি একটা একটা মেসেজ। যা সবাইকে একসাথে এক ক্লিকে পাঠিয়ে দেয়া যাচ্ছে। তাতে থাকছে না কোনো আবেগ অনুভূতি।
করোনাকালীন সময়ে ২ বছর শুধুমাত্র ভিডিওকলে আপনজনদের দেখে আমরা কাটিয়ে দিয়েছি সময়। এখনও তার খুব হেরফের হয়নি। আত্নীয়ের বাসায় ঘুরতে যাওয়ার মজা নিয়ে গেছে ভিডিও কল। বর্তমান সময়ে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ কারো বাসায় শুধুমাত্র বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যায় না। সালামের স্থান দখল করেছে বিকাশ।
ঈদ আর আগের মতো নেই এটা খুবই ক্লিশে একটা ডায়ালগ। মানুষ পরিবর্তন হচ্ছে তার সাথে সাথে চাহিদা আবেগের জায়গাও পরিবর্তন হচ্ছে। এরসাথেই আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তাই খুব সহজ সমাধান হিসেবে আমরা ঈদের সন্ধ্যায় একটা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের আয়োজন করতে পারি। যেখানে আমাদের গ্রামে থাকা মামা থেকে শুরু করে বিদেশে থাকা ভাই সবাই সেজেগুজে একত্রে মিটিং আ্যটেন্ড করবে। কাজিনরা সবাই মিলে অনলাইনে একসাথে সিনেমা দেখতে পারি। বন্ধুদের পাশাপাশি কিছুটা সময় থাকুক পরিবারের জন্যে। ঈদ আগের মতো নেই, থাকবেও না। এরমাঝেই আমাদের উচিত ছোট ছোট কিছু আ্যক্টিভিটি একত্রে আয়োজন করা। যার মধ্য দিয়ে আমরা সাধ্যের মাঝে ঈদের আনন্দ পেতে পারি।