ঢাকা থেকে মুছাপুর ক্লোজার (নোয়াখালী) যাওয়ার সহজ উপায় ও ভ্রমণ গাইড

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মুছাপুর ক্লোজার একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর স্থান, যা স্থানীয়ভাবে “মিনি কক্সবাজার” নামে পরিচিত। এটি বঙ্গোপসাগর ও ছোট ফেনী নদীর মোহনায় অবস্থিত।

ঢাকা থেকে দুইভাবে মুছাপুর ক্লোজারে আসতে পারেন।

  • ঢাকা থেকে নোয়াখালী (সোনাপুর) হয়ে মুছাপুর ক্লোজার, নোয়াখালী।
  • ঢাকা থেকে ফেনী হয়ে মুছাপুর ক্লোজার, নোয়াখালী।

ঢাকা থেকে নোয়াখালী (সোনাপুর) হয়ে

  • ঢাকা থেকে নোয়াখালী গামী বিভিন্ন বাস আছে , বাস গুলো আপনাকে সোনাপুর,নোয়াখালীতে (সোনাপুর জিরোপয়েন্ট) নিয়ে আসবে। এছাড়াও আপনি ঢাকা থেকে ট্রেনে করে সোনাপুর, নোয়াখালীতে আসতে পারেন।এতে জনপ্রতি ৫০০টাকা থেকে ৭০০টাকা খরচ হবে।
  • সোনাপুর, নোয়াখালী (সোনাপুর জিরোপয়েন্ট) থেকে সিএনজি করে সরাসরি মুছাপুর ক্লোজার যেতে পারেন এতে করে আপনার সময় কিছুটা কম লাগবে। এতে জনপ্রতি ১২০টাকা থেকে ১৫০টাকা খরচ হবে।
  • এছাড়াও আপনি বিভিন্ন লোকাল পরিবহন মধ্যে সোনাপুর থেকে কবিরহাট,বসুরহাট হয়ে মুছাপুর ক্লোজার যেতে পারেন। এতে আপনার অনেক সময় লাগবে।

ঢাকা থেকে ফেনী হয়ে

  • ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গামী বিভিন্ন বাসের মাধ্যমে আপনি ফেনীতে আসবেন। অথবা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গামী ট্রেনে করে ফেনীতে আসবেন। (যে ট্রেনে গুলো ফেনী রেল স্টেশনে থামে) এতে জনপ্রতি ৪৫০টাকা থেকে ৬৫০টাকা খরচ হবে।
  • ফেনী থেকে লোকাল বাস বা সিএনজিতে করে বসুরহাটে আসবেন‌।এতে জনপ্রতি ৮০টাকা থেকে ১২০টাকা খরচ হবে।
  • বসুরহাট থেকে সিএনজি বা লোকাল পরিবহন মধ্যে মুছাপুর ক্লোজার যেতে হবে। এতে জনপ্রতি ৫০টাকা থেকে ১০০টাকা খরচ হবে।

গাড়ি ভাড়া করে: ঢাকা থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়া করতে পারেন। (অধিক আরামদায়ক কিন্তু ব্যয়বহুল)

ভ্রমণের সেরা সময়

  • মুছাপুর ক্লোজা নির্দিষ্ট কোনো ভ্রমনের সময় নাই। মুছাপুর ক্লোজা একেক ঋতুতে একেক রকম রুপ ধারণ করে।

থাকার ব্যবস্থা

  • সরাসরি রাত্রিযাপন করার জন্য সরকারি বা বেসরকারি আবাসিক সুবিধা এখনো পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি।
  • তবে আপনি যদি মুছাপুর ক্লোজায় ক্যাম্পিং করতে চান তাহলে মুছাপুর ক্লোজায় ক্যাম্পিং করে এমন কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপ আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ক্যাম্পিং করতে পারবেন

স্থানীয় খাবার

  •  মুছাপুর ক্লোজায়ে খাওয়া ব্যবস্থা সীমিত।
  • মুছাপুর ক্লোজায়ের আশেপাশে স্থানীয়দের কয়েকটি খাবারের দোকান আছে।

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

  • মুছাপুর ক্লোজারে যাওয়ার আগে বসুরহাট বাজার বা নোয়াখালী শহর থেকে খাবার কিনে নিয়ে যাওয়া ভালো, কারণ ক্লোজার এলাকায় খাবারের দোকান সীমিত।
  • আপনি যদি পিকনিক বা ক্যাম্পিংয়ের পরিকল্পনা করেন, তাহলে নিজস্ব রান্নার সরঞ্জাম ও উপকরণ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া সুবিধাজনক হবে।
  • মুছাপুর ক্লোজায় ক্যাম্পিং করতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি বা গাইড নিয়ে গেলে নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা সহজ হবে।

 

আপনি যদি এই ভ্রমণ সম্পর্কে আরও কোন বিষয়ে জানতে চান এবং ওই জায়গা সম্পর্কে কোন কিছু জানাতে চাইলে আমাদেরকে জানান।

2 thoughts on “ঢাকা থেকে মুছাপুর ক্লোজার (নোয়াখালী) যাওয়ার সহজ উপায় ও ভ্রমণ গাইড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *